সর্বশেষ :
সিলেটে বিএনপি নেতার প্রাইভেট কার ছিনতাই লামাকাজী ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি গঠন টাকার জন্য কোন শিক্ষাথীর্র পড়ালেখা বন্ধ হবে না: বিশ্বনাথে মিছবাহ উদ্দিন হবিগঞ্জে ব্যারিস্টার সুমনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ, আদালতে কাঁদলেন সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা গোয়াইনঘাটে ব্যবসায়ী সেলিম হত্যা মামলা, হবিগঞ্জ থেকে আটক ২ খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জে আনতে পেরে আমরা গর্বিত : প্রধান উপদেষ্টা (ভিডিওসহ) সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা : থানায় অভিযোগ দায়ের সিলেট কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভূমি দখলের অভিযোগ সিলেট সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ৭০ লক্ষ টাকার চোরাই পণ্য আটক
ভোটের জন্যই ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশিদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে: মোদী

ভোটের জন্যই ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশিদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে: মোদী

সবুজ সিলেট ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের জন্য বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্য ঝাড়খণ্ডজুড়ে তাদের বসবাসের জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

ভারতের এই রাজ্যে চলতি মাসেই বিধানসভা নির্বাচন হবে। এ ভোট সামনে রেখে সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও তাদের সহায়তাকারীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন। গত মাসেই তিনি বলেন, বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করেই নিশ্বাস নেবো। এমনকি, এর আগে তিনি বলেছিলেন, অবৈধভাবে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হবে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, অমিত শাহ’র পরে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন মোদী। সোমবার রাজ্যটির পলামু অঞ্চলের গড়ওয়ায় হওয়া বিজেপির জনসভায় তিনি অনুপ্রবেশ নিয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও আরজেডির জোট সরকারকে দায়ী করেছেন।

মোদী বলেন, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও আরজেডি তোষামোদের রাজনীতিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এই তিনটি দলই বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশকে সমর্থন করে। আর ভোট পাওয়ার আশায় ঝাড়খণ্ডের জোট সরকার অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্যে বসবাসেরও জায়গা করে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি এখানে এমন যে, সরস্বতী বন্দনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। যখন উৎসবে পাথর ছোঁড়া হয়, দুর্গা মাকেও আটকে দেওয়া হয়, যখন কারফিউ জারি করা হয়, তখন বোঝা যায় যে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ।

মোদী সোমবার হেমন্ত সরকারকে নিশানা করে বলেন, প্রশাসন যখন অনুপ্রবেশের কথা অস্বীকার করে, তখন বুঝতে হবে সরকারতন্ত্রেই অনুপ্রবেশ হয়ে গেছে। এছাড়া ঝাড়খণ্ডের বিরোধী জোটকে ‘অনুপ্রবেশকারীদের জোট এবং মাফিয়াদের দাস’ বলেও মন্তব্য করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে গত রোববার ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচীতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিরও সমালোচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। কিন্তু তারা তা করছে না। একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ভোট পাওয়ার জন্য ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশ্রয়ে অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff